১ মার্চ থেকে ভোজ্যতেল লিটারে ১০ টাকা কমিয়ে ১৬৩ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা থাকলেও ওই দামে বিক্রি হচ্ছে না। তাই রূপগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ, চট্টগ্রামসহ সাতটি রিফাইনারিতে তেলের উৎপাদন ও মজুত পর্যবেক্ষণের জন্য ভোক্তা অধিকারের টিম পাঠানো হয়েছে। বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস সামনে রেখে এক বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে গতকাল ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম সফিকুজ্জামান এ তথ্য জানান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরন।
এ. এইচ. এম সফিকুজ্জামান বলেন, দাম কমানোর সিদ্ধান্ত সহজে কার্যকর হয় না। অথচ দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত দ্রুত কার্যকর হয়। সম্প্রতি চারটি পণ্যের শুল্ক ও কর কমালেও বাজারে তার প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। তাঁর মতে, ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণে এখন প্রয়োজন ভোক্তার সিন্ডিকেট। অযৌক্তিকভাবে দাম বাড়লে ভোক্তারা জোট হয়ে কোনো দ্রব্য কেনা কমিয়ে দিলে দাম কমে আসবে। এর সাম্প্রতিক উদাহরণ ছিল গরুর মাংস।
তিনি বলেন, বেইলি রোড ট্র্যাজেডিতে ভোক্তার অধিকার ক্ষুণ্ন হয়েছে। একজন গ্রাহক রেস্টুরেন্টে যাওয়ার আগে তাঁর পক্ষে জানা সম্ভব হয় না, ওই স্থাপনা বিল্ডিং কোড মেনে করা হয়েছে কিনা; সেখানে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ও জরুরি নির্গমন সিঁড়িসহ অন্যান্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা সঠিক আছে কিনা।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে প্রযুক্তি ব্যবহারের গুরুত্ব নিয়ে আয়োজিত ছায়া সংসদে সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকদের পরাজিত করে স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের বিতার্কিকরা চ্যাম্পিয়ন হয়। সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, দুষ্টচক্রের কারণে ন্যায্য দামে পণ্য কিনতে না পারায় ভোক্তারা কষ্টে আছে। রমজানে পণ্যের দাম ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে কিনা তা ভাবিয়ে তুলছে ভোক্তাদের। দ্রব্যমূল্য বাড়ার আরেকটি কারণ হলো, পণ্য পরিবহন গাড়ি থেকে স্তরে স্তরে চাঁদাবাজি। ইতোমধ্যে জ্বালানি তেলের দাম আরেক দফা বেড়েছে, যা পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আরও বাড়িয়ে দেবে।