বেগমগঞ্জের সেই দেলোয়ার ৭ দিনের রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনার মূলহোতা দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার হোসেনকে তিন মামলায় মোট সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। রোববার নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতের হাকিম মাসফিকুল হক এর রায় দেন।

দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার হোসেন

আদালত সূত্র জানায়, একলাসপুরের ওই নির্যাতিন নারীকে গত বছরের ৫ অক্টোবর ও চলতি বছরের ২ এপ্রিল ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হাবিবুর রহমানের আবেদনে ৫ দিন রিমান্ড এবং বেগমগঞ্জ থানার অস্ত্র ও বিস্ফোরণ মামলায় এসআই মীর হোসেনের আবেদনে একদিন করে দুদিন, মোট সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতের হাকিম মাসফিকুল হক একই দিন বেগমগঞ্জ থানার এসআই মারুফের আবেদনে দেলোয়ার হোসেনকে বেগমগঞ্জের চাঞ্চল্যকর রাসেল হত্যা মামলার ৭নং এজাহার নামীয় আসামি হিসেবে এবং আরেকটি সন্ত্রাসী মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন। এ নিয়ে দেলোয়ারকে নোয়াখালীতে ৫ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলো এবং তিন মামলায় সাত দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। দেলোয়ারের পক্ষে আজও কোনো আইনজীবী আদালতে দাঁড়ায়নি। তাই দেলোয়ার নিজেই তার পক্ষে শুনানি করেন।

দেলোয়ার আদালতকে জানান, সে আগামী ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেয়ায় ষড়যন্ত্র করে তাকে ফাঁসানো হয়েছে। মূল সন্ত্রাসী জামালকে ডিবি ধরে এক লাখ টাকার বিনিময়ে মাইজদী বাজারে এনে ছেড়ে দিয়েছে।

দেলোয়ার আদালতকে জানান, সে আগামী ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেয়ায় ষড়যন্ত্র করে তাকে ফাঁসানো হয়েছে। মূল সন্ত্রাসী জামালকে ডিবি ধরে এক লাখ টাকার বিনিময়ে মাইজদী বাজারে এনে ছেড়ে দিয়েছে।

দেলোয়ার আদালতকে বলেন, জামালকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিলে সব সত্য বেরিয়ে আসবে। আদালতে কথা বলার সময় দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, মিডিয়া তার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার করে যাচ্ছে। কিন্তু রিমান্ডের আদেশ হলে কান্নায় ভেঙে পড়েন দেলোয়ার।