চট্টগ্রামের বাঁশখালী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে ২-৪ বছর পরপর কেনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত রিটের শুনানিতে এস. আলম গ্রূপের কৌসুলির উদ্দেশ্যে আদালত বলেন, আপনাদের এই প্রজেক্টে কেন বার বার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শ্রমিক মারা যায়। কেন বারবার এ ধরনের ঘটনার উদ্ভব হয়।
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এ প্রশ্ন রাখেন।
জবাবে আইনজীবী আরশাদুর রউফ বলেন, দুটো গ্রূপের কাছ থেকে জমি কিনে এই প্রকল্প করা হয়েছে। যার জন্য এখানে একপক্ষ আরেক পক্ষকে সহ্য করতে পারছে না। যার কারণে স্বার্থান্বেষী একটা মহল এখানে ঢুকে এধরনের ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করে।
তিনি বলেন, ১৭ এপ্রিল একটা বাদে শ্রমিকদের সব দাবি মেনে নেওয়া হয়। একটি দাবি ছিলো শ্রমিকরা শুক্রবার আধাবেলা কাজ করে পুরো দিনের পারিশ্রমিক চাইছিলো। এই দাবি নিয়ে দর কষাকষির এক পর্যায়ে বাইরে থেকে লোক এসে হামলা করে। তখন পুলিশ অ্যাকশনে যায়।
তিনি বলেন, এই প্রকল্পের ৭০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আমার তো শ্রমিক লাগবে। রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে এই মূহুর্তে প্রকল্প বন্ধ করে দিলে ক্ষতিগ্রস্ত হব আমরা।
রিটকারী বেলার সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, এই প্রকল্পে তিনটি সংঘর্ষের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়েছি।
আদালত বলেন, একটি ঘটনা তো ৫ বছর আগের। এতদিন ঘুমিয়ে থেকে এখন তদন্ত চাচ্ছেন?রিজওয়ানা হাসান বলেন, আমরা তো চেয়েছিলাম সরকারের পক্ষ থেকে তদন্ত করা হবে। কিন্তু তা না হওয়ায় এ রিট করেছি।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সৈয়দা নাসরিন বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় দুটো মামলা হয়েছে। মামলাগুলো যে শ্রমিকদের হয়রানির জন্যই সেটা এজাহারের বিষয়বস্তু দেখলেই পরিস্কার হয়ে যায়।