২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট সম্পর্কে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। দলগুলোর কারও মতে, প্রস্তাবিত বাজেট কল্পনাপ্রসূত। এটি বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। কারও মতে, প্রস্তাবিত বাজেটে সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকা-রুটি-রুজি-সহায়-সম্পদ লুটপাট করে মুষ্টিমেয় ১ শতাংশ লুটেরা ধনীদের স্বার্থ রক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আবার কোনো কোনো দল বলছে, এ বাজেট বৈষম্য বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেট কল্পনাপ্রসূত, মনগড়া ও অবাস্তব। আন্দাজে করা এই বাজেট বাস্তবায়নযোগ্য নয়। বাজেটে বিশাল ঘাটতি রয়েছে। তা পূরণ করতে যে ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে সেটি বাস্তবসম্মত নয়। এই বাজেট ব্যাপকভাবে সংশোধন বা রদবদল করতে হবে। এছাড়া স্বাস্থ্যখাতে নামমাত্র বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। সামাজিক বেষ্টনীখাতে যা দেওয়া হয়েছে তা বাজেটের তুলনায় অত্যন্ত কম। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা খাতে অনেক কম বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে বাজেট অধিবেশন থেকে বের হয়ে সংসদ ভবনের টানেলে গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে তিনি একথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, ধারণার বশবর্তী হয়ে অর্থমন্ত্রী বাজেট তৈরি করেছেন। এই বাজেট এতটাই পরিবর্তন করতে হবে যে, তাতে প্রণীত বাজেটের প্রকৃত রূপ থাকবে না। বাজেটে খরচ বাড়িয়েছেন, বাড়ানো দরকারও আছে, কিন্তু অর্থ আহরণের বিষয়ে তারা হোঁচট খেয়েছেন। গেলো বাজেটের লক্ষ্য অনুযায়ী ৬০ ভাগও রাজস্ব আদায় করতে পারেনি দশ মাসে। সামনের দুই মাসে কতটা আদায় করতে পারবেন তাও জানেন না। যেটা প্রাক্কলন করেছেন তাতে যথেষ্ট পরিমাণে ঘাটতি রয়েছে। জিডিপির ৬ দশমিক ২ ভাগ ঘাটতির বাজেট এর আগে আর হয়নি।
ঘাটতির এই বাজেটে যত সুন্দরভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবং বলা হয়েছে তা ডিটেইলে দেখা গেছে অনেক কিছুই ফাঁক আছে। জাপা চেয়ারম্যান আরো বলেন, যারা করোনাকালে কর্মহীন হয়েছেন এবং দারিদ্রসীমার নিচে চলে গেছেন তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি বা তাদের জন্য আর্থিক সহায়তার সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা নেই এই বাজেটে। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বেড়েছে সামান্য। এটা সাধারণভাবে বলা যায় রুটিনবৃদ্ধি, কোনো ক্রাইসিসের জন্য এই বৃদ্ধি সামান্য এবং অপ্রতুল।