পিচ নিয়ে আইসিসির ‘দ্বিচারিতা’র সমালোচনা করলেন রোহিত

সেঞ্চুরিয়নের বদলা কেপটাউনে নিল ভারত। সেই সঙ্গে দুই ম্যাচের সিরিজে সমতাও ফিরিয়ে আনল টিম ইন্ডিয়া। এমন খুশির দিনেই আইসিসির ‘দ্বিচারিতা’র সমালোচনায় মুখর হলেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা।

ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে প্রথম দিন থেকেই হয়েছে ‘উইকেট বৃষ্টি।’ খেলা হয়নি পুরো দুই দিনও। সব মিলে ৩৩ উইকেট পড়েছে, যার মধ্যে প্রথম দিনেই পড়ে ২৩ উইকেট। সব মিলে খেলা হয়েছে ৬৪২ বল। যা টেস্ট ইতিহাসে বলের হিসেবে সর্বনিম্ন। এই টেস্টে রান হয়েছে ৪৬৪, যার মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংসে ৫৫ রানে অলআউট হয়েছে। ভারতের প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেটে ১৫৩ থেকে অলআউট হয়েছে ১৫৩ রানেই। বোলারদের স্বর্গে সর্বোচ্চ ১০৬ রান এসেছে এইডেন মার্করামের ব্যাটে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন বিরাট কোহলি।

তবে ম্যাচ জিতলেও ভারতের অধিনায়ক সরব হয়েছেন আইসিসির দ্বিচারিতা নিয়ে। কেপ টাউনের পিচ নিয়ে ক্ষিপ্ত তিনি। রোহিতের দাবি, ভারতের পিচে বল প্রথম দিন থেকে স্পিন করলে অনেক কথা বলা হয়। কিন্তু অন্য দেশে বল প্রথম দিন থেকে গতির স্বর্গ হয়ে উঠলে তখন কথা ওঠে না কেন? আইসিসিকে চোখ-কান খোলা রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ভারতের অধিনায়ক।

কেপটাউন পিচ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে গত বছরের ১৯ নভেম্বর আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে হওয়া ফাইনালের কথাও উল্লেখ করেছেন রোহিত। ট্রাভিস হেডের সেঞ্চুরিতে সেই ফাইনালে ৭ উইকেটে অস্ট্রেলিয়া জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। রোহিতের নেতৃত্বাধীন ভারত টানা ১০ ম্যাচ জিতে ফাইনালে এসে খেই হারিয়েছে। সেই ফাইনালের পিচকে দেওয়া হয়েছিল ‘গড়পড়তা’ রেটিং।

প্রায় দুই মাসের পুরোনো ঘটনা প্রসঙ্গে ম্যাচ শেষে আজ রোহিত বলেন, ‘পিচের রেটিং দেওয়ার ব্যাপারে কয়েকজন ম্যাচ রেফারির আরও সতর্ক হওয়া উচিত। আমি এখনো অবাক যে বিশ্বকাপ ফাইনালের পিচকে ‘গড়পড়তা’ রেটিং দেওয়া হয়েছে। এক ব্যাটার সেখানে সেঞ্চুরি করেছে। কীভাবে সেটা বাজে পিচ হয়? যা তারা দেখছেন সেটার ওপর ভিত্তি করে আইসিসি, ম্যাচ রেফারির পিচ রেটিং দিতে হবে। দেশ দেখে নয়। আশা করি, তারা তাদের চোখ-কান খোলা রেখে কাজ করবেন।’

পিচ রেটিংয়ের ক্ষেত্রে আইসিসি ম্যাচ রেফারিরা যেন দেশ বিবেচনায় না নেন, সেই আহ্বান জানিয়ে রোহিত বলেন, ‘ম্যাচ রেফারিদের পিচ রেটিং করা উচিত কী দেখেছেন তার ভিত্তিতে, দেশ দেখে নয়। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি আশা করি তাদের চোখ–কান খোলা থাকবে। আন্তরিকভাবেই বলছি, আমি এ ধরনের পিচের পক্ষে। এ ধরনের পিচে খেলে নিজেদের আমরা চ্যালেঞ্জ জানাতে চাই। তবে সব সময় নিরপেক্ষতা চাই।’