রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আজ বৃহস্পতিবার বলেছেন, মস্কো তেল ও গ্যাস রপ্তানি অব্যাহত রেখেছে। পশ্চিমাদের দেওয়া নিষেধাজ্ঞার কার্যকারিতা বিষয়ে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত রুশ সরকারের এক বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি। পুতিন বলেন, ‘আমরা জ্বালানি সরবরাহের ক্ষেত্রে নিজেদের সব বাধ্যবাধকতাকে সম্মান করছি। এমনকি ইউক্রেন দিয়ে গ্যাস সরবরাহ চুক্তি শতভাগ মেনে চলছি।
রুশ প্রেসিডেন্ট পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্বব্যাপী খাবারের দাম বাড়বে বলে সতর্ক করে দেন। তিনি আরো বলেন, পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞাগুলো যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপকেই আঘাত করতে শুরু করেছে। তাদের বাজারে পণ্যের দাম বাড়ছে। এটা আমাদের দোষ নয়। এটা তাদের ভুল হিসাবের ফল।
মস্কোর ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাগুলো বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম বাড়িয়ে দিতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়ে পুতিন বলেন, রাশিয়া বিশ্বের অন্যতম প্রধান সার উৎপাদক, যা বিশ্বব্যাপী সরবরাহ চেইনের জন্য অপরিহার্য।
পুতিন বলেছেন, তার সরকার রাশিয়া থেকে প্রত্যাহার করা বিদেশি কম্পানিগুলোর সম্পদ দখল করে নিতে পারে। তিনি রাশিয়ার নাগরিকদের বলেছেন, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মুখে ‘এমন কিছু নেই আমরা যার সমাধান করতে পারি না’।
রাশিয়ার তেল বাদ দিতে পশ্চিমাদের প্রতিপক্ষ ইরান ও ভেনেজুয়েলার সঙ্গে ওয়াশিংটনের চুক্তি স্বাক্ষরের প্রচেষ্টাকে ব্যঙ্গ করে পুতিন বলেন, ‘যেসব দেশের বিরুদ্ধে তারা নিজেরাই অবৈধভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, তাদের সঙ্গেই চুক্তিতে আসার জন্য তারা ইতিমধ্যেই যে কোনো মূল্যে চেষ্টা করছে। তারা ইরানের সঙ্গে শান্তি স্থাপন করতে এবং অবিলম্বে সব নথিতে স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত। তারা আলোচনার জন্য ভেনেজুয়েলায়ও গিয়েছিল। ’
উল্লেখ্য, ইউক্রেনে হামলার পর সরবরাহ বন্ধের আশঙ্কায় ইউরোপে পাইকারি গ্যাস এবং অপরিশোধিত তেলের দাম এই সপ্তাহে রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছেছে। রাশিয়ার তেল ও গ্যাসের ওপর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন মাত্রার নিষেধাজ্ঞা পরিস্থিতিকে আরো জটিল করেছে।