পরীমনির ভাঙচুরকাণ্ড: অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ

ঢাকা বোট ক্লাবে হত্যা ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ এনে আলোচনায় আসা চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। রাজধানীর গুলশানের অল কমিউনিটি ক্লাবে ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠার পর সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার এ কথা বলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হাফিজ আক্তার বলেন, ‘কমিউনিটি ক্লাবের ঘটনাটি আমাদের গুলশান টিমের এলাকায়। আমরা বিষয়টি নিয়ে অবশ্যই আলোচনা করব। এ বিষয়ে যেকোনো ধরনের অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা জেনেছি, ৭ জুন গভীর রাতে পরীমনি ওই ক্লাবে গিয়েছেন, ৯৯৯-এর একটি ফোনে ওখানকার ঘটনাটি জানতে পারে পুলিশ। তবে পরবর্তী সময়ে এটা নিয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আমরা এ নিয়ে কাজ করব।’

বোট ক্লাবের ঘটনায় পরীমনির অভিযোগের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ বিষয়ে পরীমনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, একটি মামলা হয়েছে ঢাকা জেলায়।

যেহেতু মামলাগুলো চলমান, পরীমনি অবশ্যই প্রয়োজনে সব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আসবেন। জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্ত শেষে বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলা যাবে।

এদিকে গত বুধবার রাতে অল কমিউনিটি ক্লাবের সভাপতি কে এম আলমগীর ইকবাল গণমাধ্যমকে জানান, ৭ জুন রাত ১১টার পর ক্লাব বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু পরীমনি নিয়মবহির্ভূতভাবে ক্লাবের বারে ঢুকে মদ অর্ডার করেন। ওয়েটাররা সেই মদ পরিবেশন করতে না চাওয়ায় ১৫টি গ্লাস, ৯টি স্ট্রে ও বেশ কিছু হাফ প্লেট ভাঙচুর করেন তিনি। উল্টো পুলিশ ডেকে নিজেকে হেনস্তার অভিযোগ করেছিলেন পরীমনি, যদিও পরীমনি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

এদিকে ঢাকা বোট ক্লাবে হত্যা ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ এনে পরীমনির করা মামলায় গ্রেপ্তার প্রধান অভিযুক্ত নাসির উদ্দিন মাহমুদ গুলশানের অল কমিউনিটি ক্লাবেরও সদস্য। এ বিষয়ে অল কমিউনিটি ক্লাবের সভাপতি কে এম আলমগীর ইকবাল বলেন, ‘নাসির উদ্দিন মাহমুদ উত্তরা ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। আমাদের ক্লাবেরও উনি সদস্য; কিন্তু উনি কখনো আসেন না।’

প্রসঙ্গত, অল কমিউনিটি ক্লাবে পরীমনি যাওয়ার পরের রাতে উত্তরার পাশে বিরুলিয়ায় তুরাগ নদের পারে ঢাকা বোট ক্লাবে হত্যা ও ধর্ষণচেষ্টার শিকার হন বলে অভিযোগ করেন পরীমনি। গত সোমবার সাভার মডেল থানায় মামলার পর পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি গুলশান বিভাগ। বর্তমানে তাঁরা ডিবি হেফাজতে রিমান্ডে রয়েছেন।