নবগঠিত নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) স্বাগত জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, একাদশ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল- দ্বাদশ নির্বাচনের আগেই সংবিধানের আলোকে আইনের মাধ্যমে ইসি গঠন করা হবে। এর ফলে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন-২০২২’ প্রণয়ন করা হয়। এ আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি ইসি গঠন করেছেন।
তিনি বলেন, আমাদের প্রস্তাবিত নাম বাদ পড়লেও সংবিধান অনুযায়ী ইসি গঠিত হওয়ায় আমরা সন্তুষ্ট। রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
নবগঠিত কমিশনকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচন কমিশনের সব কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করছে। গঠিত নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে। এ কমিশনের অধীনে আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি। এটা জনগণেরও প্রত্যাশা।
‘আমরা আশা করি, নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবেন। দেশের মানুষ যাতে ভোটের মাধ্যমে তাদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে পারে সে বিষয়টি তারা সুনিশ্চিত করবেন। নতুন কমিশনে যারা দায়িত্ব পেয়েছেন তারা প্রত্যেকেই কর্মজীবনে দক্ষতা, সততা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সুনামের সঙ্গে কাজ করেছেন।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশনকে নিয়ে অযৌক্তিক ও বিতর্কিত মন্তব্যের মাধ্যমে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত না হয়ে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখতে সব রাজনৈতিক দলের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। চলমান গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা বজায় রেখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিতে এ কমিশন কাজ করবে। অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের মধ্য দিয়ে তারা দেশবাসীর প্রত্যাশা পূরণ করতে সক্ষম হবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সার্চ কমিটির মাধ্যমে সংবিধান অনুযায়ী আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। এ কমিশন ইতোমধ্যে গ্রহণযোগ্য হয়েছে। আগামী নির্বাচনগুলো এ কমিশনের অধীনে যাতে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয় সেজন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। আশা করি- বিএনপিসহ অন্য সব রাজনৈতিক দল সে দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করবে। গণতন্ত্রের রীতিনীতি অনুসরণ করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করবে।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে অন্য সব রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজ সাধুবাদ জানালেও বিএনপি নেতারা চিরাচরিতভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, নেতিবাচক ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য অব্যাহত রেখেছেন। বিএনপি নেতারা বলছেন- নির্বাচন কমিশন নিয়ে তাদের কোনো আগ্রহ নেই। তারা এটি মানেন না। প্রকৃতপক্ষে বিএনপির প্রতি জনগণের কোনো প্রকার আগ্রহ নেই এবং তারা সম্পূর্ণ জনবিচ্ছিন্ন ও হতাশাগ্রস্ত রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। এ রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের ফলেই বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ভয় পায়।