ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চার ইনিংসের তিনে নেমে রান পাননি নাজমুল হাসান। নিউজিল্যান্ডে দলের সঙ্গে থাকায় খেলতে পারেননি জাতীয় লিগেও। যেখানে আবার তিনে ব্যাটিং করে সেঞ্চুরি করেন আরেক তরুণ টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান সাইফ হাসান। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংস দারুণ খেলে ৫৯ রান করেন আরেক টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান সাদমান ইসলাম। তিনজনই ওপেনিং ও তিন নম্বর জায়গার জন্য লড়ছিলেন।
পাল্লেকেলেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে সাদমানকে বসিয়ে সাইফকে তামিম ইকবালের সঙ্গী করে পাঠানো হয়। তিনে জায়গা ধরে রাখেন নাজমুল। তবে নাজমুলের সময় ফুরিয়ে আসছিল। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে টানা চার ইনিংসের ব্যর্থতার পর শ্রীলঙ্কায় ব্যর্থ হলে হয়তো পরের টেস্টেই সাদমানের জন্য জায়গা ছাড়তে হতো নাজমুলের। কিন্তু আজ পাল্লেকেলে টেস্টের প্রথম দিন ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি করে সব শঙ্কা দূর করলেন নাজমুল।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই সাইফ ০ রানে আউট হওয়ার পর ক্রিজে এসে তামিমের সঙ্গে ১৪৪ রানের জুট গড়েন নাজমুল। ২০০৯ সালের পর দেশের বাইরে দ্বিতীয় উইকেটে এটিই শতরানের জুটি। অন্য প্রান্তে তামিম যখন খেলছিলেন বিধ্বংসী ক্রিকেট, তখন নাজমুলের ব্যাট ছিল শান্ত। আঁটসাঁট কৌশলে লঙ্কান বোলারদের ভালো বল গুলো ঠেকিয়ে দিচ্ছিলেন অনায়াসে। কোনো ঝুঁকি ছাড়াই ১২০ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন এই বাঁহাতি তরুণ।
তামিম ৯০ রানে আউট হলেও নাজমুল সারা সকাল যা করেছেন ঠিক তাই করে গেছেন দিনের দ্বিতীয় সেশনে। তামিমের সঙ্গে ম্যারাথন জুটির পর নতুন ব্যাটসম্যান অধিনায়ক মুমিনুল হকের কাজটাও সহজ করে দেন উইকেটে থিতু হওয়া নাজমুল।