বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ১৯৮১ সালের ৩০ মে যারা জিয়াউর রহমানকে হত্যা করেছিলো, তারা ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার শত্রু, মানুষের শত্রু। বাংলাদেশের যে উত্থান হয়েছিল, সেই উত্থানের শত্রু। তারাই ২০০৬ সালে ১/১১ এর থেকে সক্রিয় হয়ে উঠে আবার বাংলাদেশকে ওই একই জায়গায় নিয়ে যেতে চায়। তারা বাংলাদেশের যে আইডেনটিটি তা ধ্বংস করতে চায়। এই দেশটাকে তারা তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। সেটারই এখানে ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত চলছে।
গতকাল শনিবার রাতে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির উদ্যোগে এই সভা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সারা দেশের ৮১টি সাংগঠনিক জেলার নেতারা ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, মালয়েশিয়াসহ প্রবাসী শাখার নেতারাও আলোচনায় যুক্ত হন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের লোকেরা, বাংলাদেশের শত্রুরা মনে করেছিল যে, বিএনপি শেষ। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পর থেকে এই বিএনপি থাকবে না। বিএনপির রাজনীতি তো হচ্ছে এই দেশের মানুষের বুকের ভেতরের রাজনীতি, মাটির রাজনীতি। এটা বিএনপি ধারণ করে। সব সময় বিএনপি সেই ফিনিক্স পাখির মতো জেগে উঠেছে এবং চতুর্দিকে আবার বিস্তার লাভ করেছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, তরুণদের ও যুবকদের কাছে আজকে আমার আবেদন, ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করেছিলাম তখন আমরা তরুণ ছিলাম, যুবক ছিলাম। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তখন একেবারেই যুবক ছিলেন। তার ডাকে সাড়া দিয়ে আমরা সেই যুবকরাই যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম অস্ত্র হাতে। আবারও ১৯৭৫ সালে শহীদ জিয়ার ডাকেই কিন্তু আমরা রাষ্ট্রকে নির্মাণ করার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম।
দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সরকার কেন আটকে রেখেছে তার কারণ তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, একটি মাত্র কারণ যে, খালেদা জিয়া শহীদ জিয়ার যে পতাকা, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব-গণতন্ত্রের যে পতাকা তা নিয়ে তিনি সেই গ্রামে-গঞ্জে নিয়ে সেটাকে প্রতিষ্ঠিত করে তুলেছেন। সেজন্যেই বেগম জিয়াকে গ্রেফতার করে আটক করে রাখা হয়েছে। আজকে অসুস্থ হওয়ার পরেও তাকে বিদেশে চিকিৎসা করাতে যেতে না দেওয়ার সেটাই কারণ। যেন কোনো মতেই সুস্থ হয়ে আবার জনগণের সামনে আসতে না পারেন। কারণ তিনি ধারণ করেন সেই রাজনীতি সেই পতাকা যা শহীদ জিয়াউর রহমান ধারণ করতেন, যা এদেশের কোটি কোটি মানুষ ধারণ করে।
মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে এবং প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আলীমের সঞ্চালনায় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বক্তব্য দেন।