দশ মাস পর সন্তানের মুখ দেখলেন

টোকিও অলিম্পিক গেমসরে সাঁতার ইভেন্টে সব মিলিয়ে আটটি পদক জয় করেছেন গ্রেট ব্রিটেনের সাঁতারু এডাম পিয়েতা। যার মধ্যে তিনটি পদক রয়েছে, যেটির রেকর্ড দেশটির সাঁতারুদের মধ্যে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। অন্যান্য সাঁতারুসহ এডাম পিয়েতা লন্ডনে ফিরেছেন।

হিথ্রো বিমানবন্দরে সাড়া পড়ে গিয়েছিল পিয়েতাদের দেখার জন্য। অটোগ্রাফ নিতে, ছবি তুলতে মানুষের ভিড়। ভিড়ের মধ্যেই দূর থেকে কেঁদে উঠলেন এডাম পিয়েতা। তার স্ত্রী ইরিয়ানিদ মুনরোর কোলে পুত্র সন্তান জর্জ এন্ডারসন পিয়েতা। ১০ মাসের শিশু সন্তানকে দেখে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি ইতিহাস সৃষ্টি করা সাঁতারু। নিজের পুত্র সন্তানকে প্রথম দেখে কেঁদে ফেললেন। আবেগাপ্লুত এডাম পিয়েতা।

হিথ্রো বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘তিনি তার পুত্রকে দেখে অভিভূত। নিজের সন্তানকে এক সপ্তাহ না দেখা, এমনকি এক দিন না দেখেও থাকা যায় না। গত সাতটা বছর প্রস্তুতি নিয়েছি কীভাবে টোকিও অলিম্পিকে স্বর্ণ জয় করব। এই সাতটা বছরে গড়ে দুই সপ্তাহ বিশ্রাম ছিল। জীবনটা অন্যরকম হয়ে গিয়েছিল।’

এডামের শহর ট্যাপলোতে পথে পথে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন ছোট-বড় সবাই। পদক গলায় সবার সঙ্গে কথা বলেছেন। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অলিম্পিক স্বর্ণজয়ী এই তারকা। পরিবার থেকে কত দিন দূরে ছিলেন, সাঁতার নিয়ে ব্যস্ত থাকা এই অলিম্পিয়ান এখন পুরোটা সময় পরিবারের সঙ্গে কাটাবেন। কোচ মেল মার্শাল কঠিন ভাবে বলে দিয়েছেন বিশ্রামে থাকবে। পানি ছোঁবে না।

পিয়েতা বলেছেন, ‘আমরা এখন আর পুলে নামতে পারব না। পানিও ছুঁতে পারব না।আগামী তিনটা বছরের জন্য আমাদের পদক জয়ের অবসান হয়েছে। ২০২৪ অলিম্পিক গেমস রয়েছে। সেই প্রস্তুতি মাথায় আছে।’

বিশ্রামে থাকার নির্দেশনা পেয়ে আন্তর্জাতিক সুইমিং লিগে খেলবেন না, যেটি আগামী মাসেই শুরু হতে যাচ্ছে। এখন বিশ্রামে থাকার কথা বলতে গিয়ে পিয়েতা উল্লেখ করলেন, ‘মানসিক অবসাদের কথা। আমি কয়েক মাস বিশ্রামে থাকব। মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য এটা খুবই জরুরি। কারন আপনি দেখবেন যুক্তরাষ্ট্রের জিমন্যাস্ট সিমোন বাইলস মানিসক স্বাস্থ্যের ক্ষতি হওয়ায় সে খেলা হতে দূরে সরে গিয়েছিল। ইংলিশ ক্রিকেটার বেন স্ট্রোকস অবসাদের কারণে দূরে সরে গিয়েছেন। আমার ওপরও চাপ ছিল ২০১৪ সাল থেকে। রেকর্ড ভাঙতে হবে। সব সময় একটা চাপ মনের মধ্যে ধাক্কা দিতে থাকে। সব বাঁধা দূর করতে হবে। এখন সময় এসেছে বিশ্রাম নেওয়ার। সামনে বিশ্ব সাঁতার আছে। এই যুদ্ধে নামার জন্য এখান থেকে আমার নতুন প্রস্তুতি শুরু হবে নিজেকে নতুন করে চেনাতে হবে। আপনি যদি সাফল্যের জন্য না কাঁদেন তাহলে সাফল্য কখনোই আসবে না।’