তিন কোটির এই গাউন বানানোর পরেই মারা যান এর ডিজাইনার

এই সেই গাউন

আন্তর্জাতিক মহলে খুবই প্রশংসা কুড়িয়েছিল আমালের অফ শোল্ডার বিয়ের গাউন। ২০১৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর অস্কার দেলা রেন্টার বানানো গাউনে জর্জ ক্লুনিকে বিয়ে করেন আমাল। এর ২৩ দিন পর ২০ অক্টোবর মারা যান বিশ্বনন্দিত ফ্যাশন ডিজাইনার অস্কার দে লা রেন্টা। সেটাই ছিল তাঁর ডিজাইন করা শেষ পোশাক।

বেশ কয়েকটি ধাপে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরেছেন আমাল ও জর্জ। আমালের বিয়ের গাউনের দাম ৩ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। আজকের দিনে ৩ কোটি ২২ লাখ টাকা। পুরো বিয়ের আয়োজনে খরচ হয়েছিল ৪৬ লাখ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি অর্থমূল্যে তা ৩৯ কোটি টাকার সমান!

বিয়ের পর ‘হ্যালো’ ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদেও স্থান পেয়েছিলেন এই জুটি। তখন ভেনিসে বিয়ে করা নিয়ে জর্জ বলেন, ‘আমাদের দেখা হয়েছিল ইতালিতে। সেখানে আমার একটা বাড়িও আছে। তাই আমি ভেনিসেই বিয়ে করতে চেয়েছি।’

২০১৩ সালের অক্টোবরে আমাল ও ক্লুনির প্রেমের খবর প্রথম চাউর হয়। তারপর নিউইয়র্ক, তানজানিয়া ও সিসিলি দ্বীপপুঞ্জে একসঙ্গে দেখা গেছে এ জুটিকে।  আর এখন বিয়ের সপ্তম বছরে পা রেখে যমজ দুই সন্তান নিয়ে লকডাউনে চুটিয়ে সংসার করছেন এই দম্পতি। প্রেম, বিয়ে, সংসার নিয়ে সম্প্রতি ‘পিপল’ ম্যাগাজিনকে জর্জ বলেন, ‘আমালের সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর মনে হলো, আমার জীবন যা ছিল, সব অর্থহীন। এই নারীই আমার জীবনকে পূর্ণতা দিতে পারে। একটি বাচ্চা রাতের বেলা বিছানা ভিজিয়ে তারস্বরে কাঁদছে—এটা আমার কল্পনারও বাইরে ছিল। আর এখন আমি প্রতিদিন এমনই দুটি বাচ্চাকে নিয়ে ঘুমাই আর ভাবি, কী অদ্ভুত! এদের আমি নিজের জীবনের চেয়ে বেশি ভালোবাসি। জীবনে এমন উপহার পাওয়ার চেয়ে বড় আর কী আছে?’

বিয়ের সাজে আমাল

লকডাউনে সংসারজীবন নিয়ে এই অভিনেতা বলেন, ‘মহামারিকালে নিজের চুল আমি নিজেই কেটেছি। শুধু তা-ই নয়, বাচ্চাদের চুলও আমি কেটে দিয়েছি। ঘর ঝাড়ু দিয়েছি, মুছেছি। কাপড় কেচেছি। সেগুলো ইস্তিরি করেছি। আর প্রতিদিন খাওয়াদাওয়া শেষে থালাবাটি মেজেছি। নিজেকে আমার আর কোনো হলিউড তারকা মনে হচ্ছে না। মনে হচ্ছে ১৯৬৪ সালে আমার মা যেমন ছিল, আমি যেন ঠিক তা-ই।’