নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা-লক্ষ্মীপুর নৌপথে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল এবং ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌপথে ফেরিসহ নৌযোগাযোগ দ্রুত ও নিরাপদ করতে মেঘনা নদীর লোয়ার অংশে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মজুচৌধুরীরহাট সংলগ্ন মেঘনা নদীর দক্ষিণ দিকের চ্যানেলের ২৫ কিলোমিটার নৌপথের খনন কাজ শনিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে থেকে শুরু হয়েছে।
খনন কাজটি সম্পন্ন হলে ভোলা-লক্ষ্মীপুর এবং ঢাকা-লক্ষ্মীপুর উভয় নৌপথের দুরত্ব প্রায় ১০ কিলোমিটার কমবে। ঢাকা হতে লক্ষ্মীপুরে যাত্রীবাহী লঞ্চ ৬ ঘন্টায় যেতে পারবে। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি আজ শনিবার লক্ষ্মীপুরে ঢাকা-লক্ষ্মীপুর নৌপথের উল্লেখিত ২৫ কিলোমিটারের খনন কাজের উদ্বোধন করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের আলোকবর্তিকা। তাঁর আলোয় আলোকিত হচ্ছে দেশ। তিনি পদ্মা সেতু, রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর, চার লেন- ছয় লেনের মহাসড়ক, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করছেন। প্রতিমন্ত্রী শনিবার লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীরহাট বাস টার্মিনালে ঢাকা-লক্ষীপুর নৌপথের ড্রেজিং কাজের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃকায় এসব কথা বলেন।
বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রী ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য এ কে এম শাহজাহান কামাল, জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল, পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মিয়া মোহাম্মদ গোলাম ফারুক পিংকু এবং সাধারণ সম্পাক এডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ পুনরুদ্ধারের মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। প্রতিমন্ত্রী পরে মজুচৌধুরীরহাট হতে চররমণী এলাকায় মেঘনার লোয়ার চ্যানেলে ড্রেজিং কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
উল্লেখ্য, বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরী এবং মেঘনা (লোয়ার) নদীর ওপর দিয়ে ঢাকা হতে লক্ষ্মীপুর পর্যন্ত নৌপথের দুরত্ব ১২৫ কিলোমিটার। বুড়িগঙ্গা ও ধলেশ্বরী নদীতে বর্তমানে কোন নাব্যতা সংকট নেই। মেঘনা (লোয়ার) নদীতে লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীরহাট সংলগ্ন এলাকায় কিছু স্থানে নাব্যতা সংকট রয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) মেঘনা (লোয়ার) নদীর উক্ত চ্যানেলে ২৫ কিলোমিটার নৌপথ খনন করবে। এ বছরের ডিসেম্বরে শুরু হয়ে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে খনন কাজ শেষ হবে। দু’বছরে ৩১ লক্ষ ঘনমিটার খনন কাজে ব্যয় হবে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রতিষ্ঠান খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড এবং বিআইডব্লিউটিএ’র নিজস্ব ড্রেজার দিয়ে খনন কাজ সম্পন্ন করা হবে।