চরশাহীতে ‘খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি’তে চলছে অনিয়ম

আনোয়ার হোসেন

বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সাল থেকে দরিদ্রের মধ্যে “শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে “খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি” চালু করেছেন। এই কর্মসূচীর মাধ্যমে পঞ্চাশ লক্ষ পরিবারকে পরিবার প্রতি মাসিক ত্রিশ কেজি করে চাল মাত্র ১০ টাকা কেজি দরে দিয়ে যাচ্ছেন।

লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন চরশাহী ইউনিয়নে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি’র চাল বিক্রিতে চলছে অনিয়ম৷

অভিযোগ রয়েছে, ডিলার শিমুল চন্দ্র দাশ ১০ টাকা করে ৩০ কেজি চাউল দেওয়ার কথা থাকলেও তা দিচ্ছে ২৫ থেকে ২৭ কেজি বা তারও কম৷

এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, করোনা সংক্রমণের কারণে খাদ্যসংকটে পড়া মানুষকে স্বল্প মূল্যে চাল দেওয়া নিয়ে চলছে নয়-ছয়৷

ভুক্তভোগীরা জানায়, আজ মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি’র চাল দেওয়া শুরু হয়৷ জনপ্রতি ৩০০ টাকা করে নেওয়া হয় ৩০ কেজি চাল দেওয়ার জন্য৷ কিন্তু ২৫ কেজি থেকে ২৭ কেজির বেশি চাল দেওয়া হয় না৷

এ বিষয় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গোলজার মোহাম্মদকে জানানো হলে ২৭ থেকে ২৯ কেজি পর্যন্ত দেওয়া হলেও ৩০ কেজি পর্যন্ত দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা৷

অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রদীপ তার নাম গোপন রেখে নিজেকে ডিলার শিমুল পরিচয় দিয়ে অভিযোগ অস্বীকার করে গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, নির্দিষ্ট নিয়মে চাল দেওয়া হচ্ছে – কোন অনিয়ম হচ্ছে না৷

১২নং চরশাহী ইউপি চেয়ারম্যান গোলজার মোহাম্মদ প্রদীপ্ত ডট নিউজকে জানান, তিনি ইউপি চেয়ারম্যান এবং খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি’র সভাপতি হয়েও চাল বিতরণের বিষয়টি অবগত নন৷ অনিয়মের বিষয়ে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করলে জানতে পারেন গোলজার মোহাম্মদ৷

ডিলার শিমুল চন্দ্র দাশের অনিয়মের বিষয়টি নিশ্চিত করে গোলজার মোহাম্মদ আরও বলেন, শিমুলের প্রতিনিধি প্রদীপের অপকর্মের ফলে ইউনিয়ন পরিষদ এবং সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে তা মেনে নেওয়া যায় না৷