গায়ে গরম পানি ঢেলে কবিরাজি চিকিৎসা, ঝলসে গেলো ছাত্রীর শরীর!

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে কবিরাজের অপচিকিৎসায় নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর শরীর ঝলসে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী পার্শ্ববর্তী চুয়াডাঙ্গা জেলার কাউন্সিল পাড়ার আরিফুল ইসলামের কন্যা। সে চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত।

এ ঘটনায় বুধবার (২২ মার্চ) রাতে হরিণাকুণ্ডু থানায় উপস্থিত হয়ে তার পিতা আরিফুল ইসলাম একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

স্থানীয় ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই এলাকায় সায়েদ আলী (৫৫) নামে এক ব্যক্তি প্রায় ১৭ বছর ধরে কবিরাজি চিকিৎসা করে আসছেন। এই সময়ে তিনি বহু মানুষকে অপকিচিৎসা দিয়েছেন। এসব ঘটনায় স্থানীয়ভাবে একাধিকবার গ্রাম্য সালিশ হলেও তাকে আইনের আওতায় আনা হয়নি। এ ঘটনার সাথে সায়েদ আলীর স্ত্রী পাপিয়া খাতুনও জড়িত আছে বলেও জানায় স্থানীয়রা।

ভুক্তভোগীর পিতা আরিফুল ইসলাম বলেন, মেয়ের উপদৃষ্টির ভাব হলে তাকে সায়েদ আলী কবিরাজের নিকট নিয়ে যাই। তিনি প্রথমে ঝাড়ফুঁক ও পানি পড়া দিয়ে চিকিৎসা করেন। এতে উন্নতি না হওয়ায় ফুটন্ত গরম পানি দিয়ে চিকিৎসা করতে চাইলে আমি ও আমার সাথে থাকা মামুন বাধা দিই। এ সময় আমাদেরও পানি পড়া পান করিয়ে অজ্ঞান করে রাখে এবং আমার কন্যাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। পরে কন্যার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিকভাবে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ব্যাপারে হরিণাকুণ্ডু থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আক্তারুজ্জামান লিটন জানান, থানায় অভিযোগ দেয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।