নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে এক কোটি ১৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে তিন জনেক গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) নোয়াখালী। শনিবার দুপুরে সিআইডি নোয়াখালী জেলা কার্যালয় মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিআইডি নোয়াখালীর বিশেষ পুলিশ সুপার বশির আহমেদ।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার মাতুয়াইল এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার তিন জনেক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে বিকেলে নোয়াখালী জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারিক হাকিম সাইদিন নাঁহীর আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। রিমান্ডের ব্যাপারে আদালত আগামী মঙ্গলবার শুনানির দিন ধার্য করেন।
তিনি আরও জানান, এই প্রতারক চক্র চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তরের একে মো. উল্যার কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে ৪৪ লাখ এক হাজার টাকা, একই এলাকার মো. আজিমর প্রধানের কাছ থেকে সাড়ে সাত লাখ টাকা, নরসিংদী সদরের আবদুল করিমের কাছ থেকে ৩১ লাখ টাকা, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের মো. আবদুল আহাদ মেম্বারের কাছ থেকে ১৬ লাখ টাকা, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর ফার্নিচার ব্যবসায়ী মো. ফারুকের কাছ থেকে ১৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন।
পরে প্রতারণার কৌশল বুঝতে পেরে গত বছরের ১১ অক্টোবর নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর ফার্নিচার ব্যবসায়ী মো. ফারুক বাদী হয়ে এই চক্রের বিরুদ্ধে সোনাইমুড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় সিআইডিকে। সিআইডি নোয়াখালী কার্যালয়ের উপ-পুলিশ পরিদর্শক এস.আই আবু নোমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ প্রায় ৪ মাস তদন্ত করে শুক্রবার রাতে ঢাকার মাতুয়াইলের একটি ভাড়া বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার তিন জন হলেন- মো. সুরুজ্জামান মিয়া ওরফে সুরুজ মেম্বার ওরফে কামাল ওরপে ফয়সল (৫১), হাবিবুর রহমান ওরপে দ্বীপু ওরফে শরিফুল ইসলাম (২৫) ও রিনা বেগম ওরফে জামেলা বেগম (৪০)।