রাজউক, ফায়ার সার্ভিস ও সিটি করপোরেশনের কাজ কি শুধুই নোটিশ দেওয়া– প্রশ্ন রেখে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বেইলি রোডের ভবনটিতে বাণিজ্যিক অনুমোদনের ক্ষেত্রে প্রভাবশালীর চাপ ছিল শুনেছি। তারা কি এতগুলো জীবনের চেয়েও প্রভাবশালী? কীভাবে দিনের পর দিন এসবের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে? এত দুর্ঘটনার পরও কি রাষ্ট্রের টনক নড়বে না?
রোববার রাজধানীর কারওয়ানবাজারে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের গাফিলতিকে মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন মন্তব্য করে কামাল উদ্দিন।
তিনি বলেন, সরকারি সংস্থা ও ভবন মালিকদের অবহেলায় বেইলি রোডে ৪৬ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আইন থাকলেও বাস্তবায়ন নেই। মামলা হলেও শাস্তি হয় না। বিচারহীনতার এ সংস্কৃতির কারণে বারবার এসব দুর্ঘটনা ঘটছে।
কামাল উদ্দিন বলেন, ভবন নির্মাণের অনুমোদন বিষয়ে আমাদের নতুন করে ভাবা দরকার। আলো-বাতাস প্রবাহের সুযোগ না রেখে কাচ দিয়ে পুরো ভবন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত করা হচ্ছে। এভাবে বিপদকে নিজেরা আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আবাসিক ভবনে বাণিজ্যিক রেস্টুরেন্ট পরিচালনার ক্ষেত্রে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার নিষিদ্ধ করা উচিত ছিল। নিমতলী, চুড়িহাট্টা, নিউমার্কেট ও বঙ্গবাজারের ঘটনা উল্লেখ তিনি আরও বলেন, এত মৃত্যুর পরও নিমতলী থেকে সরানো হয়নি কোনো রাসায়নিক গুদাম।